শেরপুরের শ্রীবরদীতে হঠাৎ করেই দুপুরে দেখা দেওয়া বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন সুজন আহমেদ ওরফে রহিমুল্লাহ (২৬) নামে এক কৃষি শ্রমিক।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সুজন, যিনি অন্যের জমিতে ধান কেটে সংসার চালাতেন।
ঘটনা স্থলে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীডাংরি গ্রামের একটি ধানক্ষেতে কাজ করছিলেন সুজন।
হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বৃষ্টি শুরু হলে সুজন ধানের আঁটি মাথায় নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতের কবলে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
”সকাল থেকেই সুজন অন্যের জমিতে ধান কাটছিলেন। দুপুরের দিকে আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়, কিন্তু বাড়ি ফিরতে গিয়েই তার এই করুণ পরিণতি,” – বললেন সুজনের এক প্রতিবেশী, যিনি ঘটনার সময় কাছাকাছি ছিলেন।
ভেলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সুজন গরিব পরিবারের সন্তান, যিনি কৃষি শ্রমিক হিসেবে নিজের সংসার চালাতেন। বজ্রপাতে তাঁর মৃত্যু পুরো এলাকাকে শোকাহত করেছে।”
মৃত সুজন আহমেদ একই গ্রামের বেপারীবাড়ির আফসার আলীর পুত্র। শোকাহত পরিবার জানায়, সুজনের মৃত্যুতে তাদের সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবছর বাংলাদেশে বজ্রপাতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়, বিশেষ করে কৃষি শ্রমিকদের। বিশেষজ্ঞরা বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে না থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
https://slotbet.online/