শেরপুরে একদিনেই ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।এর মধ্যে জমজ ২ বোন পানিতে ডুবে এবং অপর ২ জন বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন।
শনিবার শেরপুর সদর, নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলার তিনটি আলাদা স্থানে ঘটেছে এসব হৃদয়বিদারক ঘটনা।বর্ষার প্রথম দিকে এ ধরনের দুর্ঘটনা এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।
বিশেষ করে জমজ বোনের মৃত্যু পুরো এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে। শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের ছোটঝাউয়ের চর নামাপাড়া এলাকায় ১২ বছর বয়সী জমজ দুই বোন শিলা ও নীলা রাস্তার পাশের ডোবায় গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে।
দুই বোনের বাবা মো. আব্দুস সালাম একজন হতদরিদ্র রিকশাচালক।
”আমার দুই মেয়ে ছিল আমার জীবনের সব আলো। ওরা ছিল খুব মেধাবী। স্কুলে ভালো ফলাফল করত। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল,” বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন আব্দুস সালাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোখলেছ আলী জানান, “শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ আকাশ মেঘলা হয়ে বৃষ্টি শুরু হয়।
জমজ বোন শিলা ও নীলা তাদের আরও দুই বান্ধবীর সাথে বাড়ির পাশের ডোবায় বৃষ্টির পানিতে গোসল করতে নামে। কিছুক্ষণ খেলাধুলার পর হঠাৎ শিলা ও নীলা পানিতে ডুবে যায়। অন্য দুই শিশু চিৎকার করে সাহায্যের জন্য ডাকে।”
এলাকার মানুষ চিৎকার শুনে দৌড়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। পানি থেকে তুলে আনার পর দেখা যায়, দুই বোনই মারা গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. করিম উদ্দিন বলেন, “আমি বাড়ির কাছেই ছিলাম। হঠাৎ বাচ্চাদের চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখি, দুই মেয়ে পানিতে ডুবে গেছে। আমরা সবাই মিলে তাদের তুলে আনি। কিন্তু তখন আর কিছু করার ছিল না।”
এদিকে নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের বড়পাগলা গ্রামে বজ্রপাতে মারা গেছেন কৃষক সমির উদ্দিন সমু (৫৮)। তিনি মাঠে গরু আনতে গিয়ে আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অন্যদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের মানিককুড়া গ্রামে ঘটেছে আরেকটি বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা। খোরশেদ আলমের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫৫) নাতনিকে পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসা থেকে বাড়ি আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, “হাজেরা বেগম তার নাতনিকে মাদ্রাসা থেকে আনতে গিয়েছিলেন। তখন প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝড় ছিল। ফেরার পথে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। হাজেরা সাথে সাথেই মারা যান। তবে নাতনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়।”
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুবায়দুল আলম চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
চারটি মৃত্যুই দুর্ঘটনাজনিত। সদরে পানিতে ডুবে মৃত দুইবোনের লাশ প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে দাফন করা হবে”।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, বজ্রপাতে কৃষক সমির উদ্দিনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, “হাজেরা বেগমের মৃত্যু বজ্রপাতের কারণে ঘটেছে।
https://slotbet.online/