সাভারের আলোচিত হত্যা মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামি রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) এবং র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ (নবীনগর)।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রবিউল ইসলাম (৩৪) গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার পশ্চিম বৈদ্যনাথ এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের পুত্র।
র্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৩ সালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার পাইটকা পাড়া এলাকার মো. ইউসুফ আলীর মেয়ে আসমা আক্তার (৩০)–এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রবিউল ইসলাম।
দম্পতি দুজনই সাভারের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তবে গত দুই মাস আগে রবিউল ইসলাম চাকরি ছেড়ে দিলে সংসারে আর্থিক টানাপোড়েন শুরু হয়। এতে দাম্পত্য কলহ বেড়ে যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ভোরে ভাড়া বাসার দরজায় তালা দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের।
তারা দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে ঘরের মেঝেতে মশারির নিচে আসমা আক্তারের নিথর দেহ দেখতে পান। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
স্থানীয়দের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে রবিউল ইসলাম স্ত্রী আসমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান। ঘটনার পরপরই আসমা আক্তারের চাচা বাদী হয়ে রবিউলের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় (মামলা নম্বর: ২৬/৯৪)।
ঘটনাটি র্যাবের নজরে এলে পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে শুরু হয় গোয়েন্দা তৎপরতা। চার মাস পলাতক থাকার পর অবশেষে বরগুনার দুর্গাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
গ্রেপ্তারের পর রবিউল ইসলামকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটুয়াখালী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. রাশেদুল আহসান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
https://slotbet.online/