দিনাজপুরের বীরগঞ্জে একতা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসার কারণে আশা রানী রায় (১৯) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে সদ্যজাত মেয়ে সন্তানটি সুস্থ রয়েছে।
আশা রানী রায় বীরগঞ্জের সুজালপুর ইউনিয়নের জগদল গ্রামের হৃদয় চন্দ্র রায় এর স্ত্রী। ঘটনার পর থেকেই চিকিৎসক, ক্লিনিক মালিক সহ স্টাফ পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১২ টায় প্রসববেদনা নিয়ে আশা রানী রায় কে একতা ক্লিনিকে ভর্তি করেন স্বামী হৃদয় রায়। এরপর বিকেল পাঁচটায় দায়িত্বপ্রাপ্ত গাইনী চিকিৎসক ডা. ইয়াসমিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশন প্রয়োজন।
বিকেল ৫টায় সিজারের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু অপারেশনের পর রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলেও কোনো কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন আশা রানী রায়ের শাশুড়ী।
আশা রানী রায়ের শাশুড়ীর দাবি ক্লিনিকেই তার মৃত্যু হয়েছে। আশা রানী রায় এর পরিবারকে ধামাচামা দেওয়ার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রোগীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ স্বজন সহ এলাকাবাসী একতা ক্লিনিক ঘেরাও করে চিকিৎসকদের বিচার দাবি করেন। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গাইনী ডা. ইয়াসমিন এর মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোন সাড়া মেলেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজ সুলতানা বলেন, মৃত আশা রানী রায়ের পরিবারের পক্ষ থেকে যদি কোন অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল গফুর বলেন, একতা ক্লিনিকে অপারেশনের পর এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে বীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মৃত পরিবার লিখিত কোন অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মৃত আশা রানী রায়ের পরিবারের কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ এর সাথে মুঠোফনে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত হওয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
https://slotbet.online/