টানা অতি ভারী বর্ষণে পটুয়াখালী শহরের অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সোমবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টির ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও আশপাশের এলাকাগুলো হাঁটুসমান পানিতে ডুবে যায়।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ২১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস।
শহরের নতুন বাজার, সদর রোড, চরপাড়া, জুবিলী সড়ক, মহিলা কলেজ,কালেক্টরেট স্কুল, কলেজ রোড, এসডিও রোড, পোস্ট অফিস সড়ক, সবুজবাগ, তিতাস সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকা ও পুরানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে বসতবাড়ি ও দোকানপাটে।
অপরদিকে অতিভাড়ি বৃষ্টিতে স্মৃষ্ট জলাবদ্ধতার দরুন ক্লাস কক্ষে জলবদ্ধতার স্মৃষ্টি হওয়ায় শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজকের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুমন বলেন, ‘সকালে দোকান খুলে দেখি, ভেতরে পানি। টিভি, পাখা, কাপড় সব নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিবারই একই সমস্যা হয়, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান নেই।’
জলাবদ্ধতার কারণে শহরের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট করে পৌঁছাতে দেখা গেছে। অফিসগামী মানুষকেও পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। রাস্তাঘাটে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে রিকশাচালক ও দিনমজুরদের রোজগারে বড় প্রভাব পড়েছে।
পটুয়াখালী পৌরসভার কর্মকর্তারা জানান, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে এবং ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে।
তবে টানা ভারী বর্ষণের কারণে পানি দ্রুত নামছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে জানান তাঁরা।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে পৌরসভার সেমি আধুনিক ড্রেন পরিষ্কারের যন্ত্র ও তিন দাঁতের সরঞ্জাম কার্যকর নয়।
এতে শুধু উপরিভাগ পরিষ্কার হচ্ছে, ড্রেনের ভেতরের পলি ও ময়লা থেকেই যাচ্ছে। আগের কোদাল-বেলচা পদ্ধতি ছিল অনেক ভালো।
অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ ড্রেন বন্ধ হয়ে আছে, কিন্তু কিছু সুপারভাইজার মিথ্যা রিপোর্ট দিচ্ছেন যে “সব পরিষ্কার”—যা সম্পূর্ণ বানোয়াট।
নাগরিকরা পৌরকর দিলেও পরিষ্কারের সময় আলাদা করে টাকা চাওয়া হয় অভিযোগ তোলা হয় এবং পৌর প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিষয়টি তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি তোলেন তারা।
শুধু দৃশ্যমান ড্রেন গুল ই পরিষ্কার হয় কিন্তু অভ্যন্তরীণ ড্রেন গুলো যেন অবহেলার চাদরেই নিমজ্জিত!
https://slotbet.online/