• শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে: মিয়া গোলাম পরওয়ার হাতীবান্ধা পুলিশের অভিযান: ১ কেজি গাঁজা সহ মহিলা গ্রেফতার খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডুমুরিয়ার মুহাম্মদ আল-আমিন দূর্নীতি করেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কে এই রেদোয়ান? ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জুলাই-২০২৫ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি হলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ সহ ৭ কর্মকর্তা সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের দুটি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের ‎নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬: নির্বাচন কমিশনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ আজ চিত্রশিল্পী সুলতানের ১০১ তম জন্মদিন পাইকগাছায় তালগাছ রোপন কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সুযোগ্য চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন
নোটিশ
মুক্ত বাংলাদেশ পরিবারে স্বাগতম

বাবার মরদেহ মর্গে রেখে পরীক্ষা দেওয়া আলফি পাস করেছে‎

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ / ১৫৮ বার পঠিত হয়েছে
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫

‎বাবার মরদেহ মর্গে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া রাকিয়া আলফি (১৬) পাস করেছে।

সে রাজশাহীর অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের এসএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

‎জানা গেছে- চলতি বছরের ১০ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। আর ১৬ এপ্রিল রাতে মেয়েকে (আলফি) উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় খুন হন আকরাম আলী (৪৫)।

নিহত বাবার মরদেহ মর্গে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিল আলফি। সেদিন ১৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) আলফির ছিল ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র বিষয়ের পরীক্ষা। তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল রাজশাহী শিরোইল উচ্চ বিদ্যালয়।

‎সূত্রে জানা যায়, ১৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকায় মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা আকরাম আলীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ সময় আলফির বড় ভাই ইমাম হাসান অনন্তও আহত হন। নিহত আকরাম হোসেন পেশায় একজন বাসচালক ছিলেন।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইমাম হাসান অনন্ত বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় সাতজনসহ অজ্ঞাত আর চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

‎এ বিষয়ে আলফির চাচা আশরাফুজ্জামান সোহাগ বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল মেয়ে কমপক্ষে জিপিএ-৫ পাবে। কিন্তু যে দিন তার বাবা খুন হয়, তার পরের দিন ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র বিষয়ের পরীক্ষা।

একদিকে পরীক্ষা, অন্যদিকে বাবার মরদেহ মর্গে। সারারাত কান্নাকাটির পরে সকালে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল না। অনেক বুঝিয়ে পরীক্ষা দিতে পাঠানো হয়। সব আল্লাহর ইচ্ছা।

তবে বিকেলে আলফিদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।

‎এ বিষয়ে অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, সে ক্লাসের ভালো ছাত্রী।

তার বাবা মারা যাওয়ার ঘটনা শুনেছিলাম। খুবই দুঃজনক। তারপরও মেয়েটা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। পাস করেছে। তার শিক্ষাজীবনে মঙ্গল কমনা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই বিভাগের আরও খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

https://slotbet.online/