• শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
বাবার মরদেহ মর্গে রেখে পরীক্ষা দেওয়া আলফি পাস করেছে‎ রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ১৬ বছরে সর্বনিম্ন পাসের হার: তবুও দেশ সেরা বীরগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ: ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বনপাড়া পৌরসভার সেরা করদাতাদের সম্মাননা প্রদান এসএসসি ও সমমানের-২০২৫ সালের ফল প্রকাশ লালমনিরহাটের দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের পুশ-ইনের চেষ্টা আটক- ১০ রংপুরে বৌভাতের বাস উল্টে পুকুরে নিহত-৩: আহত-২৫ মৌলভীবাজারে সেপটিক ট্যাংক থেকে মোবাইল তুলতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় ৪ যুবকের মৃত্যু রাজশাহীর বাঘায় গাঁজা ও ইয়াবা সহ গ্রেফতার-২ রাজারহাট মহিলা ডিগ্রী কলেজের সভাপতি হলেন আইনজীবী ইয়াকুব আলী
নোটিশ
মুক্ত বাংলাদেশ পরিবারে স্বাগতম

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ১৬ বছরে সর্বনিম্ন পাসের হার: তবুও দেশ সেরা

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ / ২৫ বার পঠিত হয়েছে
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫

‎রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় এবার ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। গত ১৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এ বোর্ড। গড়েছে সর্বনিম্ন পাসের হারের নতুন রেকর্ড। এবার বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

‎এর আগে ২০০৯ সালে বোর্ডে পাসের হার ছিল ৫৮ দশমিক ১৩। এরপর এবার সর্বনিম্ন পাসের হারের রেকর্ড গড়ল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড।

তবে এত কিছুর পরও দেশসেরা হয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। যদিও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, ফলাফলে খুশি তারা। তবে বিপর্যয় মানতে নারাজ তারা।

‎‎রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের তথ্য মতে, ২০০৯ সালে শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ছিল ৫৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। এরপর ২০১০ সালে পাশের হার হয় ৮৫ দশমিক ৩৮।

২০১১ সালে পাশের হার ছিল ৮০ দশমিক ৪৩। ২০১২ সালে পাশের হার ছিল ৮৮ দশমিক ৩৩। ২০১৩ সালে পাশের হার ছিল ৯৪ দশমিক ২।

২০১৪ সালে পাশের হার ছিল ৯৬ দশমিক ৩৩। ২০১৫ সালে পাশের হার ছিল ৯৫ দশমিক ২। ২০১৬ সালে পাশের হার ছিল ৯৫ দশমিক ৭৬। ২০১৭ সালে পাশের হার ছিল ৯০ দশমিক ৭২।

২০১৮ সালে পাশের হার ছিল ৮৬ দশমিক ১০। ২০১৯ সালে পাশের হার ছিল ৯১ দশমিক ৬৬। ২০২০ সালে পাশের হার ছিল ৯০ দশমিক ৩৮। ২০২১ সালে পাশের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৭১।

২০২২ সালে পাশের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৮৭। ২০২৩ সালে পাশের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৮৮।

‎সর্বশেষ গত বছর ২০২৪ সালে পাশের হার ছিল ৮৯ দশমিক ২৫। এবার সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশে। যা গত ১৬ বছরের সর্বনিম্ন পাশের হার।

‎রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, এবার যে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে এমনটি নয়।

আমরা মানসম্মত ভাবে খাতা দেখেছি। যে যা পেয়েছে তাকে তাই নম্বর দেওয়া হয়েছে। আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত কথা আছে বোর্ড থেকে বলে দেয় বেশি নম্বর দিতে।

এবার আমরা এমন কোনো নির্দেশনা দেয়নি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকেও সঠিক নম্বর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

‎তিনি আরও বলেন, ৭৭ শতাংশ ছেলে মেয়ে পাস করেছে। এটি ভালো একটি দিক। এটিকে বিপর্যয় বলা যাবে না।

যদিও ১৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে পাশের হারের। আবারো কম পাশের হার এসেছে। তারপরও আমার সর্বোচ্চ জিপিএ পেয়েছি। দেশ সেরাও হয়েছি।

‎তিনি আরও বলেন, আমরা দেশসেরা হয়েছি। সবার সঙ্গে আনন্দ উল্লাস করেছি। এটি জন্য বোর্ডের কোনো কৃতিত্ব নেই।

এটির জন্য সব চেয়ে বেশি কৃতিত্ব আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। তারা এ ফলাফল অর্জন করেছে। আমরা তাদের এ ফলাফলে খুশি হয়েছি।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই বিভাগের আরও খবর
https://slotbet.online/