গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা–সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছে।
এর মধ্যে ২ জন হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার পুত্র দীপ্ত সাহা (২৫) ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮।
বুধবার বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে হাসপাতাল ও নিহতের পরিবার সূত্রের এ তথ্য জানা গেছে।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, বিকেলে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
তারা গুলিবিদ্ধ ছিলেন। এছাড়া আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের অস্ত্রোপচার চলছে।
দেশের প্রথম সারির একটি সংবাদমাধ্যমকে স্বজনরা নিহত ২ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তবে অপরজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিহত দীপ্ত সাহার চাচা হাসপাতালে বলেন, দীপ্ত দুপুরের খাবার খেয়ে তার দোকানে যাচ্ছিলেন। শহরের চৌরঙ্গীতে তার পেটে গুলি লাগে।
নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলছে। আমার ছেলে তো কোনো দোষ করেনি। আমি আমার সন্তানকে কোথায় পাব?’
মৃত্যুর তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবিরকে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এদিন গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থলে হামলা হয়।
পরে সমাবেশ শেষ করে এনসিপি নেতারা বের হলে তাদের ঘিরে আবার হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। হামলা–সংঘর্ষের এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তারা।
এনসিপির সমাবেশ ও দলটির নেতাদের ওপর হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
https://slotbet.online/