ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা আজকে সবাই মর্মাহত, শোকাহত।
আমরা এখানে এসেছি আমাদের ছোট ভাই সাজিদ আব্দুল্লাহ কেন মরলো তার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি নিয়ে। এটাকে নিয়ে কোন অবহেলা করা চলবে না, এটাকে নিয়ে কোন রাজনীতি করা যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে ১০ দিনের মধ্য তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে, যদি এর চেয়ে বেশি সময় লাগে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেওয়া হবে।’
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত পৌঁনে ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে টর্চ লাইট মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আজকে আমরা ছাত্রশিবিরের কোন দাবি নিয়ে আসিনি। আমরা এসেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর দাবি নিয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ নিরাপদ নয়। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় এখনো লাইটিং করা হয় নাই৷ এর পিছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উদ্দেশ্য কী? তা ব্যাখ্যা করতে হবে।
সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আপনাদের কোন দাবির কথা বললে বলেন ফান্ড নাই। আপনাদের যদি ফান্ড নাই থাকে, তাহলে আমাদের বলুন, আমরা ভিক্ষা দিয়ে আপনাদের ফান্ডের ব্যবস্থা করে দিব।
তারপরেও এরকম কাঙ্গালের মতো কথা আপনারা আর বলবেন না। মনে রাখবেন আপনারা কোনো হেডাম দেখিয়ে প্রশাসনে বসেননি।
বরং শহীদদের রক্তের উপর বসেছেন। আপনাদেরকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য প্রশাসনে বসানো হয়নি, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনে বসানো হয়েছে।
আপনারা যদি শিক্ষার্থীদের নিরপত্তা নিশ্চিত না পারেন তাহলে প্রশাসনে থাকার অধিকার আপনাদের নেই।
এর আগে, রাত ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় এলাকা থেকে ইবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত
ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে শাখা ছাত্রশিবির। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিলে সংগঠনটির অফিস সেক্রেটারি রাশেদুল ইসলাম রাফি, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবসার নবী হামযা, আন্তর্জাতিক ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হাসানুল বান্না অলি সহ কয়েকশ’ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলে সংগঠনটবর নেতা-কর্মীরা— ‘আমার ভাই মরলো কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘পুকুরে লাশ কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সাজিদ হত্যার তদন্ত, করতে হবে করতে
হবে’, ‘আর কত পরলে লাশ, প্রশাসনের হবে লাজ’, ‘ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর, করতে হবে’, ‘লাশ নিয়ে রাজনীতি, চলবে না চলবে না’, ‘প্রশাসনের তালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘শিবিরের এ্যাকশন,
ডাইরেক্ট এ্যাকশন’ ও ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দিবো রক্ত’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
https://slotbet.online/