• বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে: মিয়া গোলাম পরওয়ার হাতীবান্ধা পুলিশের অভিযান: ১ কেজি গাঁজা সহ মহিলা গ্রেফতার খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডুমুরিয়ার মুহাম্মদ আল-আমিন দূর্নীতি করেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কে এই রেদোয়ান? ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জুলাই-২০২৫ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি হলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ সহ ৭ কর্মকর্তা সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের দুটি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের ‎নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬: নির্বাচন কমিশনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ আজ চিত্রশিল্পী সুলতানের ১০১ তম জন্মদিন পাইকগাছায় তালগাছ রোপন কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সুযোগ্য চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন
নোটিশ
মুক্ত বাংলাদেশ পরিবারে স্বাগতম

রাজশাহীতে ডাস্টবিনের দুর্গন্ধে নাকাল এলাকাবাসী: কমতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ / ১২৭ বার পঠিত হয়েছে
প্রকাশ : শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫

‎গ্রীন সিটি, ক্লিন সিটি এবং এডুকেশন সিটি হিসেবে খ্যাত রাজশাহী মহানগরীতে একটি ডাস্টবিনের তীব্র দুর্গন্ধে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ।

এই সমস্যার কারণে রাজশাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।ডাস্টবিনের অপরিচ্ছন্ন ব্যবস্থাপনা এবং এর অবস্থান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছাকাছি হওয়ায় পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।

‎বুধবার  সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজশাহী মহানগরীর নর্দানমোড় এলাকায় অবস্থিত আদর্শ স্কুল সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, ডাস্টবিনটির বাইরে এলোমেলোভাবে ময়লা-অবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

‎ডাস্টবিনের বাইরে ময়লা ফেলার ফলে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষার্থী ও পথচারীদের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে।

‎এসময় ময়লা আবর্জনা ফেলার সময় এক রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কমীকে বাইরে ময়লা-আর্বজনা ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ৩-৪ মাস ধরে ময়লা তোলার রোলার গাড়ি নষ্ট থাকায় ময়লা ডাস্টবিনের বাইরে ফেলতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু নির্দেশনা পালন করি। সিটি করপোরেশন এ বিষয়ে অবগত।

‎এসময় স্থানীয় বাসিন্দা বাকুল জানায়, আমার বাড়ি এই আদর্শ স্কুলের পাশেই, আমি যখনি বাড়ি থেকে বের হয় এই ডাস্টবিন দিয়ে বিকট দুগন্ধ বের হয় যার ফলে আমাদের দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় এবং চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়।

‎আমরা চাই যদি সিটি কর্পোরেশন এই ডাস্টবিনকে ভালো ভাবে ম্যানেজমেন্ট করতে পারে তাহলে করুক, অন্যথায় এই ডাস্টবিনকে এখান থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাই।

‎স্থানীয় বাসিন্দা আবির হাসান রয়েল বলেন, এই ডাস্টবিনের সামনেই রয়েছে একটি আদর্শ স্কুল যার নাম করেই এই ডাস্টবিনের নাম করণ করেছে তারা।

এত সাহস তারা কোথায় পায় যে একটা বিদ্যালয়ের নামে তারা ডাস্টবিনের নামকরণ করে। আমরা সাধারণত জেনে থাকি ডাস্টবিন জনশূণ্য স্থানে নির্মাণ করা হয়ে থাকে তাহলে কেন এত জনবহুল স্থানে এই ডাস্টবিনটি নির্মাণ করতে হলো তাদের।

এই ডাস্টবিনের এক পাশে রয়েছে রুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়, আরেক পাশে রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, শিমুল মেমোরিয়াল স্কুল এবং এই ডাস্টবিনের সামনেই রয়েছে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এই ডাস্টবিনের দূগন্ধে এই সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অতিষ্ট।

‎আরও লক্ষ করলে দেখা যায়, একসময় আদশ্য স্কুলের শিক্ষাথীর ছুটি হলেই ঝাকে ঝাকে দল বেঁধে বের হতে দেখা যেত কিন্তু এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না। অথ্যাৎ স্কুলের শিক্ষার্থীও কমতে শুরু করেছে এই ডাস্টবিনের জন্য।

‎রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি বিভাগের শিক্ষার্থী শামিউল বলেন, বিভিন্ন প্রয়োজনে দৈনন্দিক জীবনে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা লাগে কিন্তু এই ডাস্টবিনের বাইরে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে বিকট গন্ধ বের হয় যার ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে ব্যাপক সমস্য হয় ।আমার মনে হয় ডাস্টবিনের ভেতরে ময়লা-আবর্জনা ফেললে অনন্ত কিছুটা পরিবেশ দূষণ কমানো যাবে।

‎রুয়েট এর শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ বাশার বলেন, এইখানে একটি ডাস্টবিন আছে, সঠিক ম্যানেজমেন্ট এর অভাবে এই ডাস্টবিন থেকে অনেক দূগন্ধ বের হয়।

এছাড়া এইপাশে রুয়েট এর একটি পকেট গেট রয়েছে, যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী এই গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় বাজে দুর্গন্ধের শিকার হই, এই পাশের হল গুলোতে ক্লাসের মধ্যে বাজে দূগন্ধেরও শিকার হতে হয় রুয়েট শিক্ষার্থীদের।

‎রাজশাহী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান সহকারি শিক্ষক জোবাইদা নাহার বলেন, ডাস্টবিন টি যখন প্রথম নির্মাণ করার উদ্দ্যেগ নেয় তখনি আমরা তাদের বাঁধা দেই ও সমস্যার কথা বলি তখন তারা বলে, এই ডাস্টবিনটি এমন ভাবে নির্মাণ করে দিব, যাতে আপনাদের কোন সমস্য হবে না।

তারপরও আমরা বলি  বিদ্যালয়ের সামনে ডাস্টবিন থাকলে, শিক্ষার্থীদের কি কোন সমস্য হবে না, এটা কিভাবে হয়! তখন তারা আমাদের জনাই, অন্য কোথাও জায়গা নেই, স্পট নেই, আপনি জায়গা দেন, এমন কথা জানাই রাজশাহী সিটি কর্পোশনের কর্মকতারা।

‎এরপর একাধিকবার এই বাজে দূগন্ধের সমস্য নিয়ে অত্র বিদ্যালয়ের কমিটি’র সভাপতিসহ আমরা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে জানালে তারা আমাদের একই কথা বলে যে, জায়গা দেন, কোথায় দিবেন ইত্যাদি কথা বলে তাড়িয়ে দেয়।

‎আমরা কি জায়গা দিতে পারি? সরকার ও সিটি কর্পোশন ই কেবল জায়গা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, আমাদের কি সেই ক্ষমতা আছে।

‎তিনি আরও বলেন, এই ডাস্টবিনের তো এক বিকট দূগন্ধ রয়েছেই সেই সাথে এখন তারা দীর্ঘদিন যাবত ডাস্টবিনের ভেতরে নই, বরং ডাস্টবিনের বাইরে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ বাড়াছে যেমন, ঠিক তেমনি বিকট দুগন্ধও সৃষ্টি হচ্ছে।

যার ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রায় অসুস্থ হয়ে যায়। এমন কি আমরা অফিসের জানালা ও দরজা লাগিয়েও অফিসে বসে থাকতে পারি না। ওপরের ২ ও ৩ তলার ক্লাস রুমের

জানালা সব-সময় লাগিয়ে রাখতে হয়, জানালা দরজা লাগিয়ে রাখার পরও ক্লাস রুমে বিকট দূগন্ধ ঢুকে পড়ে,  সঠিকভাবে পাঠদান আমরা করতে পারি না, বা আমাদের শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে শিখতে পারে না।

‎দিন দিন আমাদের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমছে, অবিভাবক ও শিক্ষার্থীদের একের পর এক অভিযোগ, কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারছি না।

‎তিনি আরও বলেন, আমরা বহুবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কে অভিযোগ ও অনুরোধ করেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান আমরা পাই নি।

‎তাই আমি, শিক্ষার্থীদের সার্থে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস সারের কাছে সাহায্যে কামনা ও বিশেষভাবে অনুরোধ জানাছি, যাতে আমাদের

শিক্ষার্থীদের এই ডাস্টবিনের ভয়ানক দূগন্ধের হাত থেকে যেন তিনি রক্ষা করেন বলেও জানান, আমাদের রাজশাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জাবাইদা নাহার!

‎রাজশাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা জানাই, এই ডাস্টবিনের জন্য আমাদের অনেক সমস্য হয়।

যখন আমরা সকালে ক্লাসে আছি তখন থেকেই আমাদের বমি বমি ভাব লাগে, আমরা কখনোই পরিপূর্ণভাবে ক্লাস করতে পারি না। অনেকেই অসুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যাই।

‎সপ্তম শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী মোতাস্সেম বিল্লা নাদভি জানাই, সকালে আমাদের ক্লাস চলাকালিন সময়ে এই বাজে দুগন্ধে আমাদের খুব কষ্ট হয়, নিশ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্য হয় তখন দরজা-জানালা খুলে দিলে আমরা আরও সমস্য পড়ি প্রায় আমরা ক্লাস করতে পারি না।

‎এত্র বিদ্যালয়ের ব্যবসায়ী শিক্ষার শিক্ষক মো: হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের স্কুলের সামনে যেই ডাস্টবিন রয়েছে এটাকে রিসাইক্লিং স্টেশন বলছে, আসলে এটি আমাদের কাছে এখন বিষফোড়ার মতো হয়ে উঠেছে।

এর আশে পাশে রুয়েট, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সহ ২বিদ্যালয় রয়েছে, অনেকগুলো শিক্ষার্থী যখন একসাথে থাকে তখন এই দূগন্ধে নিশ্বাস পর্যন্ত নিতে পারে না।

এমন সময় আসে যখন তাদের বমি বমি ভাব লাগে, প্রায় আমাদের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে, ক্লাস না করেই বাড়ি চলে যাই।

এতে দিন দিন আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে এভাবে চলতে থাকলে হয়তো আমাদের আর্দশ বিদ্যালয় শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে যাবে।

‎এই ডাস্টবিন সড়ানোর জন্য আমি অনেক জায়গায় চেষ্টা করেও বার বার ব্যার্থ হয়েছি, শেষবার হিসাবে আমি মাননীয় প্রধান উপদেষ্ট ড. মোহাম্মদ ইউনুস স্যারকে

অনুরোধ করব যাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই ডাস্টবিনটি সরিয়ে, কোমলমাতি শিক্ষার্থীরা যাতে বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসতে পারে এর জন্য একটি সুস্থ নিরাপদ পরিবেশ দিবেন।

‎শিমুল মেমোরিয়াল নর্থ সাউথ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি অধ্যক্ষ ফাতেমা জহুরা দোলন বলেন, ডাস্টবিন সাধারণত জনশূন্য স্থানে নির্মাণ করা হয়ে থাকে, তবে এই ডাস্টবিনটি একটি জনবহুল স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে।

যার আশেপাশে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আমাদের স্কুল রয়েছ, রুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তারসামনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তারপাশে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে এই যে আমাদের টার্নেল পয়েন্টাতে বিভিন্ন অবিভাবকগন তাদের বাচ্চাকে স্কুল-কলেজ থেকে

নিতে-যাওয়ার সময় এই ভয়ানক দূগন্ধের শিকার হচ্ছেন। আমাদের শিক্ষার্থীদের অবিভাবকগন এই ডাস্টবিনের দূগন্ধ থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের জানিয়েছেন যে,

এই ডাস্টবিনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাই কি না? আমরা চেষ্টা করেছি সিটি কর্পোরেশন কে বিষয়টি জানাতে।

‎তিনি আরও বলেন, এই যে নোংরা পরিবেশ যা আমাদের শিক্ষার্থীদের ব্যপক স্বাস্থ ঝুকিতে ফেলছে এছাড়া বিভিন্ন পশু-পাখি এই ময়লা আবর্জনাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে একটা বাজে পরিবেশ সৃষ্টি করছে। পরিবেশ-বন্ধব যে মহল বা দপ্তরগুলো রয়েছে তাদের আমরা সুদৃষ্টি কমনা করছি যে,

এই বড় বড় ৪টা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে এমন নোংরা পরিবেশ থাকা উচিত কি না বা এই ডাস্টবিন কে অন্য কোথায় প্রতিস্থাপন করা যায় কি না তা, ভাবার জন্য

অনুরোধ করছি। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনসহ যারা সারা বাংলাদেশটাকে সুশৃঙ্খলভাবে সাজাতে সহযোগিতা করছেন বা পদক্ষেপ নিচ্ছেন আমি তাদেরও সুদৃষ্টি কামনা করছি।

‎শিমুল মেমোরিয়াল নর্থ সাউথ স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবরার রাইয়ান বলেন, ডাস্টবিন টি আমাদের স্কুলের পাশেই অবস্থিত, আমরা সাধারণত জানি, যে ডাস্টবিন নির্মাণ করা হয় জনশূণ্য স্থানে কিন্তু এই ডাস্টবিন টি নির্মাণ করা হয়েছে জনবহুল স্থানে, যার

চারপাশে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার ফলে আমাদের স্কুলের শিক্ষাথীসহ আদর্শ স্কুলের শিক্ষার্থীদের চরম বাজে দুগন্ধের শিকার হতে হয় । তাই আমার মনে হয় এই

ডাস্টবিনটি এই জনবহুল স্থানে থেকে সরিয়ে অন্যকোন জনশূণ্য স্থানেই প্রতিস্থাপন করা ভালো।

‎শিমুল মেমোরিয়াল নর্থ সাউথ স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহমিদা কোরাইশী জানাই, বিশেষভাবে বর্ষাকালে যখন আমরা ওই রাস্তাদিয়ে চলাচল করি তখন

বৃষ্টির পানির জন্যও কিন্তু ওই ডাস্টবিনের দূগন্ধ যেন কয়েকগুন বেড়ে যাই ফলে আমাদের খুব সমস্য হয়। তার থেকে ভালো হয় যে, এই জনবহুল স্থান থেকে ডাস্টবিনটি

সরিয়ে অন্যকোন জনশূণ্য বা ফাঁকা মাঠে এই ডাস্টবিনটি প্রতিস্থাপন করলেই মনে হয় সবথেকে ভালো হয়।

‎এই বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা, শেখ মোঃ মামুন এর জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদর্শ স্কুলের সামনের ডাস্টবিনটির বাইরে ময়লা ফেলা হচ্ছে এই বিষয়ে আমি অবগত।

এটি সময়িক সময়ের জন্য ফেলা হচ্ছে। আসলে আমাদের যে ৩টি স্কীট রোলার দিয়ে অপসারণ করি সেইগুলো নষ্ট হয়ে আছে যার ফলে, বড় স্কীট রোলার ডাস্টবিনের মধ্যে

ঢুকতে পারে না। তাই সাময়িক সময়ের জন্য ময়লা বাইরে ফেলা হচ্ছে।

‎কত দিনের মধ্যে এই স্কীট রোলার ঠিক হবে এবং ডাস্টবিনের মধ্যে ময়লা ফেলা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিদিষ্ট করে বলতে পারবো না, তবে অতি দ্রুত

ঠিক এই সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

‎ডাস্টবিন জনশূণ্য স্থানে প্রতিস্থাপন করা যাবে কি না বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখুন রাজশাহী একটু জনবসতি পূর্ণ এলাকা, সেই এলাকাও একটি জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় আমরা কোন ফাঁকা জায়গা পাই নি বিধায়

সেখানে আমাদের নির্মাণ করতে হয়েছে। যদি ভবিষ্যতে আমরা কোন ফাঁকা জায়গা পাই তবে সেখানে প্রতিস্থান করা যেতে পারে, বা বাংলাদেশে যদি কখনো এমন প্রযুক্তি

আসে যেখানে ডাস্টবিন স্থাপনের প্রয়োজনীয়তাই নেই গাড়ি থেকেই বাড়ি বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করা হবে।

‎রাজশাহীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ডাস্টবিনের অবস্থান এবং এর অপরিচ্ছন্ন ব্যবস্থাপনা শিক্ষার পরিবেশ ও স্থানীয়দের জীবনমানকে ব্যাহত করছে। সিটি

করপোরেশনের দ্রুত পদক্ষেপ এবং ডাস্টবিন স্থানান্তর বা আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান জরুরি। পরিবেশবান্ধব ও শিক্ষাবান্ধব রাজশাহী গড়তে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই বিভাগের আরও খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

https://slotbet.online/