আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও তথাকথিত ‘মিডিয়া ডন’দের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকা মহানগর উত্তরের পল্টন ও বিজয়নগর এলাকায় জাগপার মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে পথসভায় এ দাবি জানান তিনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে “আগামীর বাংলাদেশ গড়ার” লক্ষ্যে এই কর্মসূচি পালন করে আসছে জাগপা। এদিনের কর্মসূচির ৩০তম দিনে দলটির নেতারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ, ভ্যাট-ট্যাক্সের অপব্যবহার ও ফ্যাসিবাদী কৌশল বাস্তবায়নের’ অভিযোগ তোলেন।
পথসভায় রাশেদ প্রধান বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিজমকে বৈধতা দিতে, বিএনপি-জামায়াতকে জঙ্গি বানানোর কৌশলে কাজ করেছে কিছু মিডিয়া ব্যক্তি। তারা মিডিয়াকে হাতিয়ার বানিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। সরকারিভাবে মুজিববর্ষসহ নানা অনুষ্ঠানে হাজার কোটি টাকা খরচ করে সেই প্রচারণা চালানো হয়েছে যা ছিল জনগণের করের টাকা।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এসব মিডিয়া চক্র হিন্দুস্তানের সংস্কৃতি প্রচার করে বাংলাদেশের নিজস্ব মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিকে আঘাত করেছে। আওয়ামী লীগকে কৌশলগতভাবে প্রভাবশালী করতে বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে তারা। তিনি দাবি করেন, অবৈধ এমপি হওয়ায় আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেফতার করা হলেও গাউসুল আলম শাওন, সাব্বির রহমান তানিম, ফরহাদুল ইসলাম, ফাহাদ করিমসহ আরও অনেকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
রাশেদ প্রধান আরও বলেন, “হাসিনাপুত্র জয় ও রেহানাপুত্র ববির নেতৃত্বে সিআরআই (CRI) নামের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আওয়ামী ডিজাইন ও গুজব ছড়ানোর কৌশল নির্ধারণ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে আজও আওয়ামী লীগের পক্ষে সক্রিয় প্রচারণা চালাচ্ছে এই চক্র। তাদের গ্রেফতার না করলে দেশে শান্তি ফিরবে না।”
তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “যে দেশে প্রতিনিয়ত রেড অ্যালার্ট জারি করতে হয়, সেদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা দেওয়া মানে জাতির সঙ্গে প্রতারণা। আওয়ামী ফ্যাসিজমের মিডিয়া ডনদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে না পারলে জনরোষ চরমে পৌঁছাবে।”
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন ফিরোজ, রওশন আলম আকন্দ, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ওলিউল আনোয়ার, শ্রমিক জাগপা সভাপতি আসাদুজ্জামান বাবুল এবং সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন।
নেতারা সবাই আওয়ামী লীগের ‘দমননীতি’, মিডিয়া ব্যবহার করে ‘মনস্তাত্ত্বিক দখল’ এবং ‘রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দলীয় সুরক্ষা’ নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
জাগপার পক্ষ থেকে এই দাবিও জানানো হয় যে, জাতিকে রক্ষায় আওয়ামী লীগের মিডিয়া বাহিনী ও তাদের অর্থায়নকারী চক্রকে বিচারের আওতায় আনতে একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
https://slotbet.online/