হায়দরাবাদের উপ্পাল বাগায়থ এলাকায় বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে হঠাৎ করেই লুটিয়ে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এক তরুণ।
রোববার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
মৃত তরুণের নাম গুন্ডলা রাকেশ। তিনি হায়দরাবাদের আরটিসি ক্রস রোড এলাকায় বসবাস করতেন এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তাঁর সহকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী, রাকেশ ছিলেন সুস্থ, প্রাণবন্ত ও খেলাধুলাপ্রিয় একজন মানুষ। সপ্তাহান্তে নিয়মিতভাবে বন্ধুদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলতেন তিনি।
উপ্পাল থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “রবিবার সন্ধ্যায় রাকেশ অন্যান্য দিনের মতো ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। হঠাৎ করেই তিনি কোর্টে মাটিতে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত বন্ধুরা তাঁকে উদ্ধার করে কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।”
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই রাকেশের মৃত্যু হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কারণ জানতে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রাকেশ ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন, হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে যান এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বন্ধুরা ছুটে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা ও সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
বন্ধুরা জানিয়েছেন, রাকেশ আগে কখনো কোনো গুরুতর অসুস্থতার কথা জানাননি। শরীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন এবং নিয়মিত খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফলে এত অল্প বয়সে এমন আকস্মিক মৃত্যুর খবরে পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উপ্পাল থানার পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই মৃত্যু নিয়ে একটি আকস্মিক মৃত্যুর মামলা (Unnatural Death Case) গ্রহণ করেছে এবং ঘটনার তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে হৃদরোগ নিয়ে বাড়তি সচেতনতার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে অনিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এই বিষয়গুলো মাঝেমধ্যেই অকাল মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
গুন্ডলা রাকেশের মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সুস্থতা মানেই যে হৃদরোগের ঝুঁকি নেই—তা বলা যায় না। আকস্মিক এই মৃত্যুর ঘটনাটি সমাজে হৃদরোগ সচেতনতা বৃদ্ধির একটি উদাহরণ হয়ে রইলো।
https://slotbet.online/