টেলিভিশন উপস্থাপক ও সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহভাজন
লেনদেনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক সাবেকুল নাহার
পারুলের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে।
ব্যাংক হিসাবে ১৩৪ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে
২ জানুয়ারি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়েছিল সংস্থাটির মহা-পরিচালক মোঃ আক্তার হোসেন।
এরই মধ্যে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ জুলাই সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেনের ৩১ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দেন আদালত।
ওই হিসাবে ১৮ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা স্থিতি রয়েছে বলে জানা গেছে। ফ্রিজ আদেশ হওয়া ৩১ ব্যাংক হিসাবের কয়েকটিতে এটিএন নিউজের ক্যামেরাম্যান তপন কুমার সাহা ও তার মা আপেল রানী সাহার সঙ্গে মুন্নী সাহার যৌথ মালিকানার হিসাব রয়েছে।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপ-পরিচালক ইয়াছির আরাফাত ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন।
অভিযোগ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালানোর পর মুন্নী সাহার আমানতের মধ্যে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
স্থগিত করা হিসাবে এখন স্থিতি আছে মাত্র ১৪ কোটি টাকা। ১৭টি ব্যাংকের মাধ্যমে এ লেনদেন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে।
বিধিবহির্ভূত লেনদেনের অভিযোগে মুন্নী সাহার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যে জব্দ করে বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে, বেসরকারি ওয়ান ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় মুন্নী সাহার স্বামী কবির হোসেনের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশনের নামে ২০১৭ সালের ২ মে একটি হিসাব খোলা হয়।
যেখানে নমিনি হিসেবে নাম রয়েছে মুন্নী সাহার।
অন্যদিকে, ব্যাংকটির চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখায় জনৈক মাহফুজুল হকের মালিকানায় প্রাইম ট্রেডার্সের নামে ২০০৪ সালের ২১ জুলাই একটি হিসাব খোলা হয়।
দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকটি থেকে ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেওয়া হয়।
ঋণ পরিশোধ না করে বারবার সুদ মওকুফ ও নবায়ন করেছে ব্যাংকটি।
এর মধ্যে কেবল ২০১৭ সালেই সুদ মওকুফ করা হয় ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার। যদিও প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে পারস্পারিক ব্যবসায়ীক কোনো সম্পর্ক নেই।
অথচ বিভিন্ন তারিখে হিসাব দুটির মধ্যে বিপুল অংকের অর্থ লেনদেন হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ৬ অক্টোবর বিএফআইইউ মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব করে।
ব্যাংক হিসাবের বাইরে গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোড এলাকায় শান্তিনিকেতনে ১৬৫, রোজা গ্রিনে তার একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি থাকার অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক ভোরের কাগজ দিয়ে মুন্নী সাহার সাংবাদিকতা শুরু। সেখান থেকে তিনি যান একুশে টেলিভিশনে। এরপর যোগ দেন এটিএন বাংলায়।
https://slotbet.online/