• বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
পিরোজপুরে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ শীর্ষক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত খুলনায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ১০ জন কে পুশইন: আইনি প্রক্রিয়া চলমান ৭ জেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি: সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ কয়েদির মৃত্যু রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি হ্রাস: গোদাগাড়ীতে ভাঙ্গনের আশঙ্কা কক্সবাজারে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার: হত্যা নাকি আত্মহত্যা ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে হঠাৎ মৃত্যু, হায়দরাবাদে ২৬ বছর বয়সী তরুণের করুণ পরিণতি খুলনার কয়রায় কোস্টগার্ডের অভিযানে হরিণের মাংস জব্দ আওয়ামী মিডিয়া ডনদের গ্রেফতারের দাবি জাগপার
নোটিশ
মুক্ত বাংলাদেশ পরিবারে স্বাগতম

রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি হ্রাস: গোদাগাড়ীতে ভাঙ্গনের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ / ২৯ বার পঠিত হয়েছে
প্রকাশ : বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

‎রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে।তবে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে।

বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পদ্মার পানি বিপদসীমার ২.৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বর্তমান উচ্চতা ১৫ দশমিক ৭০ মিটার। ফলে নগরীর অধিকাংশ অংশে পানি হুমকি সৃষ্টি করছে না, তবে গোদাগাড়ীর কিছু এলাকায় নদী ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, গত ৪ দিনে পদ্মার পানি নিম্নমুখী প্রবণতায় রয়েছে: শনিবার (২৬ জুলাই): ১৬.৩৫ মিটার,রোববার (২৭ জুলাই): ১৬.২৭ মিটার সোমবার (২৮ জুলাই): ১৫.৯৭ মিটার বুধবার (৩০ জুলাই): ১৫.৭০ মিটার।

পাউবোর শহর রক্ষা শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হুরায়রা জানান, “আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত পানি ধীরে ধীরে কমবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।

তবে এরপর হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।”ভাঙনের মুখে গোদাগাড়ী

‎পানি কমলেও নদীর তীব্র স্রোতের কারণে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতলা ও চর-অষাড়িয়াদহ এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।

নদীতীরের জমি ও ফসলি মাঠ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। পাউবোর প্রকৌশলীরা জানান, “ভাঙনের গতি কমাতে আমরা জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করছি।”রাজশাহী নগরীতে পরিস্থিতি স্থিতিশীল

‎এ বছর এখনও পর্যন্ত নগরীর বুলনপুর, শ্রীরামপুর, রাজপাড়া বা বড়কুঠি সংলগ্ন নদীতীরে বড় কোনো ভাঙন বা ফাটল দেখা যায়নি।

পূর্বের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, বুলনপুর পুলিশ লাইন সংলগ্ন বাঁধে গত বছর বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানো হয়েছিল।

সেই মতো এবারও আগেভাগে প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।প্রকৌশলী আবু হুরায়রা বলেন, “রাজশাহীর মাটি অপেক্ষাকৃত শক্ত ও স্থিতিশীল হওয়ায় পানি বৃদ্ধি পেলেও নগরীর বেশিরভাগ জায়গায় তা প্রভাব ফেলতে পারে না।

তবে চরাঞ্চলের মানুষজনকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে।”

‎ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস ও সতর্কতা

‎বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও পাউবোর পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতের উজান অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কারণে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।

ফলে চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী এলাকায় নতুন করে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই বিভাগের আরও খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

https://slotbet.online/