সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক কর্নেল মোঃ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন,গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র
করে সংঘটিত সহিংসতায় সেনাবাহিনী প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গোপালগঞ্জে শুধু ইট-পাটকেল নয়, ককটেলও ছোড়া হয়েছিল। তখন সেখানে জীবননাশের হুমকি ছিল। সে প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী বলপ্রয়োগ করেছে। তবে সেখানে কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘কোনো রাজনৈতিক দল কোথায় সমাবেশ করবে সে অনুমতি দেয় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ। আমাদের কাছে আগে থেকে
কোনো গোয়েন্দা তথ্য ছিল না। গোপালগঞ্জে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গোপালগঞ্জের ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আমরা আশা করি, তদন্তে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পাবে।’
সেনাবাহিনী কি নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি সহানুভূতিশীল এমন প্রশ্নের জবাবে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সেনাবাহিনীর কাছে সবাই সমান। দায়িত্ব পালনে আমরা কখনো দলীয় বিবেচনায় কাজ করি না।
যেখানে জনজীবন হুমকিতে থাকে সেখানে আমরা সহযোগিতা করি। গোপালগঞ্জেও সেটাই করেছি।
যদি আমরা সঠিকভাবে দায়িত্ব না পালন করতাম, তাহলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত।’
গোপালগঞ্জে এনসিপিকে নিরাপত্তা দেওয়া হলেও ভবিষ্যতে তাদের আর প্রটেকশন দেওয়া হবে না এমন গুঞ্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী কাউকে
বিশেষভাবে সহায়তা করে না। গোপালগঞ্জে জীবননাশের হুমকি ছিল বলেই সহায়তা করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল শুধুই জীবন রক্ষা।’
https://slotbet.online/