পিরোজপুরে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এ শহীদদের স্মরণ ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে শহরের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে ‘জুলাই যোদ্ধা পিরোজপুর’ সংগঠনের আয়োজনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান।
সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক কাজী মো. আবু হানিফ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব তাহমীদ আল নাসীব।
শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শহীদ হাফিজুল সিকদারের পিতা ও শহীদ রফিকুল ইসলামের
স্ত্রী। তাঁদের স্মৃতিচারণা ও আবেগঘন বক্তব্য উপস্থিত সকলকে আবেগাপ্লুত করে তোলে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাখাওয়াত হোসেন, আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার মেজর ইশরাক
রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন,
প্রেসক্লাব সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম রেজাউল ইসলাম শামীম, ইসলামী আন্দোলন জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া হাওলাদার, জামায়াতে ইসলামী
সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম, শিবির সভাপতি ইমরান খান এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কলেজ শাখার সভাপতি মো. মহিবুল্লাহ।
আহতদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন: ফাহাদ সিকদার, সোয়েব আহম্মেদ, খন্দকার জুবায়ের আহম্মেদ, মো. জসিম উদ্দিন, পলাশ হোসেন, ফোরকান উদ্দিন, মো. সাকিন ইসলাম,
মো. মহিবুল্লাহ ও হৃদয় তালুকদার। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন: রেদোয়ানুল ইসলাম,
জান্নাতুল ফেরদৌস রশ্নি এবং আরিফুল ইসলাম সরদার। বক্তারা বলেন, “জুলাই মাস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। স্বাধীনতা-পরবর্তী সংকটকালে যারা
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমেছিলেন, তাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। এই আয়োজন নতুন প্রজন্মের কাছে সেসব বিস্মৃত অধ্যায়
তুলে ধরার এবং অনুপ্রেরণা জোগানোর এক প্রয়াস।” আলোচনা সভা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।
https://slotbet.online/