রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চলমান ও আসন্ন অনুষ্ঠানের প্রেক্ষিতে যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
রাজধানীর যানজট নিরসনে এবং জনদুর্ভোগ কমাতে এসব নির্দেশনা আজ ৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে কার্যকর থাকবে। ডিএমপি সকল যানবাহন চালক ও নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা এ নির্দেশনা মেনে চলেন।
বিশেষ করে জাতীয় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় সুশৃঙ্খল যানচলাচল নিশ্চিত করতে কিছু বিকল্প রুট নির্ধারণ করা হয়েছে এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যানবাহনের গমনপথে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
উত্তর দিক থেকে মিরপুর রোড হয়ে আসা ফার্মগেট বা সোনারগাঁওমুখী যানবাহনের জন্য গণভবন ক্রসিংয়ে সরাসরি দক্ষিণমুখে চলাচল নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসব যানবাহনকে গণভবন ক্রসিংয়ে বাম দিকে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে পৌঁছে সেখান থেকে ডানদিকে মোড় নিয়ে ফার্মগেটের দিকে যেতে হবে।
এছাড়া মোহাম্মদপুর থেকে আসাদগেইট হয়ে খেজুরবাগান বা ফার্মগেটমুখী যানবাহনকে আসাদগেইট ক্রসিংয়ে ডানদিকে না গিয়ে বামে মোড় নিতে হবে এবং তারপর গণভবন ক্রসিং হয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি হয়ে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে।
মানিক মিয়া এভিনিউ ব্যবহার করে চলাচলরত যানবাহনসমূহের জন্য বিকল্প পথ হিসেবে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ সড়কটি আগারগাঁও থেকে শিশু মেলা পর্যন্ত বিস্তৃত এবং অপেক্ষাকৃত কম চাপের কারণে সহজ চলাচলের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী বলে ডিএমপি জানিয়েছে।
যেসব দর্শনার্থী ব্যক্তি যানবাহনে করে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হবেন, তাদের জন্য আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ পার্কিং হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত বা ভাড়াকৃত যানবাহনসমূহ যেন এ নির্ধারিত স্থানে পার্কিং করে, সে বিষয়ে ডিএমপি অনুরোধ জানিয়েছে।
ডিএমপি নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছে যেন তারা জাতীয় সংসদ ভবন ও মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন এলাকাগুলো এড়িয়ে বিকল্প রুট ব্যবহার করেন। যানজট এড়াতে এবং অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নগরবাসীর সম্মিলিত সহযোগিতাই একটি নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
৫ আগস্টের অনুষ্ঠান ঘিরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় এই উদ্যোগ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে নগরের যাতায়াতে স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
https://slotbet.online/