• রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
ইবির জুলাই ৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতির নেতৃত্বে সাংবাদিককে মারধর পাইকগাছা-কয়রা আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ডাঃ মজিদের গণসংযোগ অব্যাহত রাজশাহীতে বক্সিং প্রতিযোগিতার বিভাগীয় বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত সন্তান কোলে নিয়ে পরীক্ষা দিয়েও দেশসেরা বাগমারার শামীমা আক্তার বাবার মরদেহ মর্গে রেখে পরীক্ষা দেওয়া আলফি পাস করেছে‎ রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ১৬ বছরে সর্বনিম্ন পাসের হার: তবুও দেশ সেরা বীরগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ: ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বনপাড়া পৌরসভার সেরা করদাতাদের সম্মাননা প্রদান এসএসসি ও সমমানের-২০২৫ সালের ফল প্রকাশ লালমনিরহাটের দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের পুশ-ইনের চেষ্টা আটক- ১০
নোটিশ
মুক্ত বাংলাদেশ পরিবারে স্বাগতম

আজ পলাশী দিবসঃ এক কালো অধ্যায়ের স্মরণ আর শিক্ষা

মুক্ত বাংলাদেশ ডেস্কঃ / ৪৯ বার পঠিত হয়েছে
প্রকাশ : সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

‎আজ পালেই স্মৃতিতে আটকে থাকা সেই মর্মস্পর্শী ইতিহাস ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন।পলাশীর আমবাগানে সংঘটিত ‘যুদ্ধ নয়, প্রহসনের যুদ্ধ’—তারই বার্ষিকীতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি।

একদিকে স্বাধীন বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা, অন্যদিকে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রবার্ট ক্লাইভ এবং ষড়যন্ত্রপূর্ণ স্থানীয় বিরোধীরা।

এই সংঘাতে নবাব প্রায় ৬৫ হাজার সৈন্য নিয়েও মাত্র কয়েক হাজার ইংরেজ ও সহমলিনদের কাছে পরাজিত হন, যার মূল কারণ ছিল গোপন বিশ্বাসঘাতকতা  ।

‎‎পলাশীর বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে নবাবের সেনাপতিদের মধ্যে মীর মর্দান ও মোহনলাল বীরত্ব দেখালেও, মীর জাফর, ঘষেতি বেগম ও অন্যান্য স্থানীয় কিছু শত্রুর কুশীলবতায় তা শূন্যে পরিণত হয় ।

ইতিহাসবিদদের মতে, এই সংঘাতে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য প্রায় দুই শতাব্দীর জন্য ম্লান হয়ে যায়  ।

‎ পর্যালোচনা ও তাৎপর্য

স্বাধীনতার অস্তিত্ব

‎পলাশীর পরাজয়ে বাংলা, বিহার ও ওড়িষ্যার স্বাধীনতা দীর্ঘ প্রায় ২০০ বছরের জন্য বিলুপ্তি বরণ করে  ।

স্থানীয় বিশ্বাসঘাতকদের ভূমিকা

‎মীর জাফর, ঘষেতি বেগমের বিশ্বাসঘাতকতা পলাশীকে এক ‘কালো অধ্যায়’ হিসেবে আঁকতে সাহায্য করে। এই ষড়যন্ত্র পলাশীর ট্র্যাজেডি দিবসের মূল শিক্ষা হিসেবে আজও স্মরণীয়  ।

বাংলার ঐতিহাসিক শিক্ষা ও জাতীয় সজাগতা

‎পলাশীর ঘটনা দেশপ্রেম ও জাতীয় স্বার্থের প্রতি সতর্ক থাকার শিক্ষা দেয়। দেশবিরোধী শক্তির কৌশলের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে জানতে চায় অনেকেই—যেমন বাংলাদেশের লেবার পার্টি  ।

‎ আজকের স্মৃতিচারণ

‎‎বাংলাদেশের বিভিন্নূপ–বিশেষত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও রহীরণ জাতীয় সংগঠন–বিভিন্ন আলোচনা সভা ও স্মৃতিসভা আয়োজন করছে।

সেখানে পলাশীর ইতিহাসের প্রাসঙ্গিকতা এবং শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান গৃহীত হচ্ছে।

সম্পাদকীয় মন্তব্য

‎আজকের দিন আমাদের ভাবায়—ইতিহাস থেকে কতটা শিক্ষা নে‌য়া হলো? বিশ্বাসঘাতকদের হাত দিয়ে দেশ স্বাধীনতার পর কোন বিপজ্জনক সংঘবদ্ধতার আর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে কি না—এই প্রশ্নগুলো আজও সমসাময়িকতা বহন করে। পলাশীর কালো অধ্যায় যেন আমাদের প্রজন্মকে সতেজ ও জাগ্রত রাখে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই বিভাগের আরও খবর
https://slotbet.online/