রাজধানীর মিরপুর–১১ এলাকার বাসিন্দারা বর্তমানে মাদকের বিস্তার নিয়ে চরম উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়ার সুযোগ এবং তরুণ সমাজের মধ্যে এর ক্রমবর্ধমান প্রভাব এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে।
মাদক সরবরাহ ও ক্রয়ের সহজলভ্যতা
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদক ব্যবসায়ীরা গোপন ও প্রকাশ্যভাবে এই অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পার্ক, বাজারের আশপাশ, এমনকি আবাসিক এলাকার প্রবেশমুখে মাদক বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার ঘাটতি মাদক ব্যবসাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
তরুণ প্রজন্মের ঝুঁকি
মাদকের সহজলভ্যতার কারণে তরুণ প্রজন্ম এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকাসক্তির ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে পরিবার এবং সমাজের ওপর চাপ বাড়ছে।
স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা
অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, মাদকের বিস্তার সম্পর্কে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
যদিও কিছু অভিযান পরিচালিত হয়েছে, তবে তা মাদক সমস্যার মূল কারণ নির্মূলে যথেষ্ট নয়।
এলাকাবাসীর দাবী
স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এবং ধারাবাহিক অভিযানের দাবী জানিয়েছেন।
পাশাপাশি, যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন তারা।
সমাধানের পথ
১.কঠোর আইন প্রয়োগ: মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে।
২.সচেতনতা বৃদ্ধি: স্থানীয়ভাবে সচেতনতা কার্যক্রম চালানো এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
৩.সামাজিক উদ্যোগ: সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে একত্রিত হয়ে মাদকবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে হবে।
মিরপুর–১১ এলাকার এই সংকট মোকাবিলায় দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন সময়, সকলে একযোগে এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসার।
https://slotbet.online/