আগামী ১৫ আগস্ট ২০২৫ থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০ টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন।
এমন সীমা নির্ধারণ করেছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বর্তমানে যাদের নামে ১০টির বেশি সিম নিবন্ধিত রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত সিমগুলো ধাপে ধাপে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে। ১৫ জুলাই অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে বিটিআরসি।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, নতুন সীমা কার্যকর হলে প্রায় ২৬ লক্ষ গ্রাহকের নামে থাকা ৬৭ লক্ষ অতিরিক্ত সিম বন্ধ হয়ে যাবে।
গ্রাহকদের মধ্যে যাদের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাদের একটি তালিকা তৈরি করে মোবাইল অপারেটরদের কাছে পাঠানো হবে। অপারেটররা ওই গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাইবে, কোন ১০টি সিম তারা রাখতে চান।
সিম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে যেসব নম্বর থেকে বেশি কল বা ডেটা ব্যবহৃত হয় এবং যেগুলো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট) সঙ্গে যুক্ত।
এর ফলে, অনেক গ্রাহককে নিজেদের অতিরিক্ত সিম বন্ধ করতে বাধ্য হতে হবে, আর অপারেটরদেরও নিতে হবে প্রাসঙ্গিক উদ্যোগ।
বিটিআরসি ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো একজন গ্রাহকের জন্য সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করেছিল।
পরে ২০২২ সালে সিম নিবন্ধন পদ্ধতি হালনাগাদ করা হলেও সিমের সংখ্যা অপরিবর্তিত ছিল।
তবে সম্প্রতি সিম জালিয়াতি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও ভুয়া নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রতারণা বেড়ে যাওয়ায় সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে সীমআরও কমিয়ে আনা হলো।
বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ১৮ কোটি ৬২ লাখ সক্রিয় সিম রয়েছে।
এত বিপুল সংখ্যক সিম ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি নতুন সীমা নির্ধারণ করেছে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, সিম নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং অপারেটরদের মাধ্যমে আগাম প্রচার ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হবে।
https://slotbet.online/