লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসুতী সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি একাধিকবার ভারতীয় ড্রোনের
অনুপ্রবেশ ঘটায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের আকাশসীমায় ড্রোন পাঠিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করছে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসুতী এলাকার ৮২৯ নম্বর মেইন পিলার অতিক্রম করে একটি ড্রোন বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
ড্রোনটি ভারতের ফুলকা ডাবরি বিএসএফ ক্যাম্প এলাকা থেকে উড়ানো হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড্রোনটি কয়েকবার বাংলাদেশের আকাশে চক্কর দিয়ে আবার ফিরে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘটনাটি নতুন নয়। গত ১০ দিন ধরেই একইভাবে ড্রোন আসছে, কিন্তু সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
অনেকেই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
স্থানীয় যুবক শামীম আল মারুফ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “ভারতীয় ক্যাম্প ফুলকা ডাবরি থেকে ড্রোন ক্যামেরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ভিডিও করে নিয়ে যায়।
৮২৯ নম্বর পিলার দিয়ে এটি প্রবেশ করে। এটা নতুন নয়, বারবার হচ্ছে, কিন্তু আমাদের কাছে প্রমাণ না থাকায় বিজিবি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।”
তিনি আরও লেখেন, “আমি জানি না আমার বার্তা কোথায় যাবে, তবে বিজিবির কাছে অনুরোধ— যেন আর কোনো ভারতীয় ড্রোন আমাদের দেশের ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে।”
সীমান্তের এক তরুণ বলেন, “প্রতিদিন বৈদ্যুতিক খুঁটির আলো আর ড্রোনের শব্দে আতঙ্কে থাকি।
সরকার যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা নিজেরাই প্রতিবাদে নামব।”
এছাড়াও সীমান্তে বসানো ভারতের বৈদ্যুতিক ল্যাম্পপোস্ট নিয়েও স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।
তাদের দাবি, জিরো লাইনের মাত্র ৫০ গজের মধ্যে স্থাপিত এই আলো রাতে তীব্রভাবে বাংলাদেশে পড়ে। এতে যেমন জনজীবন বিঘ্নিত হচ্ছে, তেমনি ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আলো বিএসএফের নিরাপত্তায় সহায়ক হলেও এটি বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলেও মনে করছেন অনেকে।
পাটগ্রাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তবিবর রহমান বলেন, “বিজিবি আগে থেকেই ড্রোন অনুপ্রবেশের বিষয়টি জানত। আগের ক্যাম্প কমান্ডার নিজেই বলেছিলেন ভারত ড্রোন পাঠায়।”
বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ৬১ বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, ভারতীয় ড্রোন বাংলাদেশ সীমান্তে ওড়ানো হচ্ছে বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি।
আমি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
https://slotbet.online/