খুলনার পাইকগাছার প্রাকৃতিক অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা কপিলমুনির তালতলা ও গোয়ালবাথান এলাকায়
বজ্রপাত ও পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিএনপি’র উদ্যোগে প্রায় তিন হাজার তালগাছের বীজ রোপণ করা হয়েছে।
বৃক্ষরোপণ কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসের সুযোগ্য চেয়ারম্যান ও দৈনিক ইত্তেফাকের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার আলদীন।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৫ বছরে ৫০ কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসাবে এই তালের বীজ রোপণ করা হয়।
এতে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা শেখ জাকির হোসেন ও শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. আব্দুল মজিদ,বণিক সমিতির আহবায়ক শেখ আনারুল ইসলাম, যুবদলের উপজেলা আহ্বায়ক
তহিদুজ্জামান মুকুল,বিএনপি নেতা আবুল হোসেন,তুষার কান্তি মন্ডল,মানবাধিকার সংগঠক ও সাংবাদিক এসএম পারভেজ, অলিউল ইসলাম, কপিলমুনি প্রেসক্লাবের
আহবায়ক এইচএম শফিউল ইসলাম,মেম্বার রফিকুল ইসলাম,সাংবাদিক খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।সহ স্থানীয় জনগণ ।
আনোয়ার আলদীন তালের বীজ রোপন কর্মসূচি উদ্বোধনের পর বলেন,জনগণের সবচেয়ে প্রিয়তম নেতা,দেশের নির্ভরযোগ্য কান্ডারী তারেক রহমান
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য পাঁচ বছরে ৫০ কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন । তার লক্ষ্য বাস্তবায়নে সারাদেশের সাথে সবচাইতে পরিবেশগত
বিপর্যয়ের ঝুঁকি প্রবণ এই অঞ্চলে প্রকৃতি বান্ধব তাল বীজ রোপণ করা হচ্ছে ।প্রকৃতি ও আগামী প্রজন্মের জন্য
স্বেচ্ছায় এসব বীজ রোপণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি করার কোন বিকল্প নেই ।প্রকৃতি দিয়েই প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন,উপকূলীয় সুন্দরবন সংলগ্ন পাইকগাছা-কয়রার প্রতিকূল প্রকৃতি ক্রমশ হন্তারক হয়ে উঠছে । জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিরূপ প্রভাবে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা,
জলোচ্ছ্বাস,পানির উপরিভাগের উচ্চতা বৃদ্ধি, ভেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি, জলাবদ্ধতা, খরা, অতিবৃষ্টির কারণে মাছের ঘের, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
হচ্ছে।বৃক্ষ শূন্য এই অঞ্চলে বজ্রপাত রীতিমতো ভয়ঙ্কর রূপ পরিগ্রহ করেছে ।বজ্রপাতের মৌসুম শুরু হলে
ঘের,মাছ ধরা,কৃষিসহ উন্মুক্ত স্থানে কাজ করা এনেকটা ভীতিকর হয়ে ওঠে ।
বজ্রপাতে প্রাণহানি বেড়ে চলেছে আশংকাজনক হারে ।
তিনি বলেন,তালগাছ প্রানী জগতের পরম বন্ধু ।প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বজ্রপাত থেকে রক্ষার বড় শিখন্ডি তালগাছ।
ভূমিক্ষয়, ভূমিধস রোধ,ভূগর্ভস্থ পানির মজুত ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অন্যতম ভূমিকা পালন করে তালগাছ।
আনোয়ার আলদীন উপকূলবর্তী এলাকায় পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় তালগাছকে প্ররক্ষক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন,তালগাছে কার্বনের স্তর বেশি থাকায় তা বজ্রপাত
নিরোধে সহায়তা করে। কারণ, তালগাছের বাকলে পুরু কার্বনের স্তর থাকে। তালগাছের উচ্চতা ও গঠনগত দিক থেকেও বজ্রপাত নিরোধে সহায়ক। তাল গাছের
উপকারিতা অভাবনীয়।এটি একটি সুপার পাওয়ার বৃক্ষ।কেবল পরিবেশগতভাবেই নয়, এর ফল, রস, পাতা, কাঠ সবই গুরুত্বপূর্ণ। তালগাছ পরিবেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে
রাখতেও সহায়ক। তালের রস থেকে গুড়, পাটালি, মিছরি তৈরি হয়। পাকা তাল ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ একটি ফল, যা স্বাস্থ্যের জন্য অতি উপকারী।
আনোয়ার আলদীন প্রতিটি গ্রামে স্বেচ্ছায় তালগাছের পাশাপাশি নারকেলগাছ, সুপারিগাছের মতো উচ্চতা সম্পন্ন
বজ্রপাত নিরোধে কার্যকরী বৃক্ষ -ফলদ বৃক্ষ রোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার আহ্বান জানান ।
https://slotbet.online/